জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়।
১. প্রথম কাজ হল- থানায় জিডি করা। এখানে দুটো বিষয় লক্ষণীয়। প্রথমত, জিডির আবেদনপত্র এ ফোর কাগজে বাসা থেকে লিখে নিয়ে যেতে পারেন। অযথা থানায় গিয়ে জিডির ফর্মের জন্য বলা বা লেখার দরকার নেই। দ্বিতীয়ত, আবেদনপত্র দুই কপি জমা দিতে হবে। একটি থানায় থাকবে, আরেকটি সিল মেরে আপনাকে দিয়ে দেবে।
২। জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে পুনরায় তোলার জন্য প্রকল্প পরিচালক, পিইআরপি, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বরাবর আবেদন করতে হবে। আর এ আবেদন সরাসরি প্রকল্পঅফিসে করা যাবে অথবা ওই ব্যক্তির নির্দিষ্ট উপজেলা বা জেলা নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তার কার্যালয়ে করা যাবে। নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে নির্ধারিত আবেদনপত্র বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। আবেদনপত্রে আপনারপূর্ণ নাম, জাতীয় পরিচয় পত্রের ১৩ অথবা ১৭ সংখ্যার নম্বর উল্লেখ করতে হবে। যদি পরিচয়পত্র নম্বর না থাকে, তবে ভোটার নম্বর দিতে হবে। এই নম্বর পাওয়া যাবে জেলা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে।
৩। ডায়েরিরকপি, পূরণকৃত আবেদনপত্র (নিজে স্বাক্ষরিত), যোগাযোগের ঠিকানা ও ফোননম্বরসহ আবেদনপত্রটি সরাসরি প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় বা জেলা/উপজেলানির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার দিন সংশ্লিষ্ট কার্যালয়থেকে প্রাপ্তি রসিদ (হারানো) দেবে এবং ওই রসিদ নিয়ে নির্ধারিত তারিখে আপনি আপনার পরিচয় পত্র হাতে পাবেন। সাধারণত আবেদনের ৩৯ কার্যদিবসের মধ্যে নতুনপরিচয়পত্র সরবরাহ করা হয়। তবে মনে রাখতে হবে যেদিন আপনার পরিচয়পত্র দেওয়ার কথা, এর পাঁচ দিনের মধ্যে সংগ্রহ না করলে আপনি আবারও ঝামেলায় পড়ে যেতে পারেন। এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলো বিনা খরচে করে দেবে।তাই কারও সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেন করবেন না।
অন্যান্য বিষয়াদি
১. সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। ১২টার পরে গেলে কোনোভাবেই আবেদনপত্র জমা নেবে না। তাই সময়মতো উপস্থিত হন।
২. নতুন কার্ডের জন্য টাকা নেওয়া হয় না। কেউ চাইলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন।
৩. যদি আপনার কার্ডের ফটোকপি না থাকে তাহলে অন্তত কার্ড নাম্বারটা থাকলে চলবে। তাই কার্ডের ফটোকপি বা সফটকপি সংরক্ষণ করুন।
Comments
Post a Comment