অর্ধেক যাত্রী নিয়ে আগের ভাড়ায়ই চলবে ট্রেন।।


করোনাভাইরাসের সংকটময় পরিস্থিতিতে ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন পুনরায় চালাতে যাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই দফায় ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে শুধু আন্তঃনগর ট্রেনগুলো চলবে, তবে ভাড়া বাড়বে না। আগামীকাল রোববার থেকে পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল রেলওয়েতে ‘ক’ গ্রুপে চারটি করে মোট আটটি আন্তঃনগর ট্রেন চলবে। যার টিকিট পাওয়া যাবে শুধু অনলাইনে।
আজ শনিবার রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ৮ জোড়া ট্রেন পূর্বের শিডিউল অনুযায়ী যাত্রা শুরু করবে এবং ৩ জুন থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন যাত্রা শুরু করবে। মোট ৩৮টি ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে।
পরবর্তীতে ৩ জুন থেকে তিস্তা এক্সপ্রেস, বেনাপোল এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস চালু হবে।
আগের সময়সূচি অনুযায়ী আগামীকাল রোববার থেকে যাত্রা শুরু করছে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনারবাংলা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট এক্সপ্রেস, উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস। এই ট্রেনগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, রাজশাহী ও খুলনা রুটে চলাচল করবে।

অর্ধেক যাত্রী হলেও টিকেটের দাম বাড়ছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া ভাড়া বাড়াতে পারি না। রেলের ভাড়া যা আছে, তাই থাকবে।

ভিড় এড়াতে টিকিট কাউন্টার থাকছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘টিকিট পুরোটাই অনলাইনে বিক্রি হবে আজ (শনিবার) থেকে। কাউন্টার থেকে কোনো টিকিটে বিক্রি করা হবে না। ৫ দিন আগে টিকিট ক্রয় করা যাবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিধি মেনে অর্ধেক টিকেট বিক্রির মাধ্যমে ট্রেন চালু করা হবে। ট্রেন ৫০০ সিটের হলে ২৫০ সিটের টিকেট বিক্রি করা হবে। যাতে এক সিট থেকে দূরত্ব নিশ্চিত করে অন্য যাত্রী বসতে পারে।

রেল বগির এক দরজা দিয়ে প্রবেশ অন্য দরজা দিয়ে বের হতে হবে। যাত্রীদের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ৬০ মিনিট আগে স্টেশনে আসতে হবে। দর্শনার্থীদের জন্য প্লাটফর্ম টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রী যেন রেলস্টেশনে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি থাকবে। কমলাপুর স্টেশন ছাড়া বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, নরসিংদীতে ট্রেন থাকবে না।

এ ছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি জানান, ট্রেনে কোনো খাবারের ব্যবস্থা থাকছে না এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বালিশ-কাঁথা সরবরাহ করা হবে না। রেলযাত্রায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, রেলের এ বগি থেকে ও বগি চলাফেরা করা যাবে না।

জরুরি প্রয়োজন না হলে এই সময়ে ট্রেনেও ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।


Comments