এ কেমন বর্বরতা,এ কেমন অসভ্যতা! তীব্র নিন্দা জানাই



সাইবার ক্রাইম নামক কালো আইন দ্বারা যে কোন ব্যাক্তিকে সহজে মামলা দিয়ে হয়রানী  করতে পারে । বিডি ল নিউজকে জাহিদের ছোট বোন তাসনিম জানান,সারা রাত পুলিশ বাসায় হানা দিয়ে আমাদের দরজা,জানালা,এমনকি ছাদে উঠে ছাদের দরজা ভেঙে ফেলে অতঃপর ভোর ৬ টায় গ্রেফতার করে চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া থানায়  সাইবার ক্রাইমের মামলা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ।

অজানা’ অভিযোগে কতুবদিয়ার এক স্বেচ্ছাসেবক,শিক্ষানবিশ আইনজীবীর বাড়িতে শেষ রাতে হানা দিল পুলিশ।বিনা ওয়ারেন্টে বাড়ির সকল নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে,সকল দরজা সংযুক্ত পিলার ভেঙে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলো!অথচ তাঁর ঘরে ৪টি যুবতী বোন,দিন শেষে রাত নামবে;ওদের নিরাপত্তা দিবে কে(?)

হামলার একপর্যায়ে ভীত-সন্ত্রস্ত সেই আইনজীবী ফেসবুকে পরপর স্ট্যাটাস দেওয়ার একপর্যায়ে লাইভে এসে চাইলেন সহকর্মীদের সহায়তা। সোমবার (১৮ মে) ভোর রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় ঘটা এই ঘটনার শিকার চট্টগ্রামে কর্মরত শিক্ষানবিশ আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম। চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবীরা বলছেন, ওয়ারেন্ট ছাড়া রাতে পুলিশ কারও বাড়িতে এভাবে যেতে পারে না।

সোমবার (১৮ মে) ভোর রাত তিনটার দিকে ফেসবুক লাইভে ওই আইনজীবীকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা আমার ছাদের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকেছেন কেন? এত রাতে আমি আপনাদের সাথে যাব না। আমি শিক্ষানবিশ আইনজীবী। আমি সকালে থানায় যাব। আমি আদেশ অমান্য করলে তবেই আপনারা আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েন। এখন সেহেরির সময়। আপনারা চলে যান। এখন আপনাদের সঙ্গে গেলে আমি জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা বোধ করছি।’

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়ায় নিজের এলাকায় করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে গিয়ে শিক্ষানবিশ আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম এলাকায় কিছু লোকের রোষানলে পড়েন। তারই প্রেক্ষিতে তাকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই রাতে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।

ওই লাইভে পুলিশের সাথে তার বাকবিতণ্ডার শব্দ শোনা যায়। জাহিদুল ইসলাম বারবার অনুরোধ করছিলেন, ‘কাল সকালে গিয়ে আমি সারেন্ডার করব। এখন আমি জীবন আশংকা বোধ করছি।’ ওই সময় তাকে বারবার পুলিশ সদস্য ‘জয়নাল ভাই’ নাম উচ্চারণ করতে শোনা যায়।

এর আগে জাহিদুল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, ‘আমি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বেচ্ছাসেবক। আমি সন্ত্রাসী না, ডাকাতও না, আমি একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী। আমার সিনিয়র চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুক্তার আহমদ স্যার আমার ইনটিমেশন সিনিয়র।’

এদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবীরা। তারা বলছেন, ওয়ারেন্ট ছাড়া রাতে কারও বাড়িতে যাওয়া আইনসঙ্গত নয় পুলিশের।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী হোসাইন ইকবাল বলেন, ‘স্থানীয় ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কথা বলায় জাহিদ সবার শত্রু হয়ে যায়। এজন্য কিছুদিন আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত করোনা বিষয়ে সচেতন কার্যক্রম পরিচালনার সময় তার ওপর হামলা চালায় এসব সন্ত্রাসী। এখন প্রশাসনকে ব্যবহার করে তার বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে। তাকে শেষরাতে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ তার বিরুদ্ধে কোন মামলা-অভিযোগ বা ওয়ারেন্টও নেই। কক্সবাজার-কতুবদিয়ার সাংবাদিক বন্ধুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।অনুসন্ধানী রিপোর্ট চাই,চাই সচিত্র ভিডিও প্রতিবেদন।ঐখানকার স্বেচ্ছাসেবক বন্ধুরাসহ সারাদেশের সক স্বেচ্ছাসেবক বন্ধুদেরও এগিয়ে আসা উচিত।

জাহিদ বারবার আকুতি জানানো সত্ত্বেও সংবিধানের প্রতি 
বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে গ্রেফতার হওয়া জাহিদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।’

Comments