শিক্ষানবিশ আইনজীবী কৃপেশ রঞ্জন দাস কর্ত্ক প্রেরিত আবেদনটি জনস্বার্থে এবং বেকারত্ব নিরসনের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।



বিষয়ঃ বিগত ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল তালিকাভুক্তি এমসিকিউ পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের বার কাউন্সিল এ সরাসরি তালিকাভুক্তি করন প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানম ন্ত্রীর বিশেষ হ স্তক্ষেপ ও সহযোগিতা চান শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। 

বিশ্বের মহা-ক্রান্তিলগ্নে মহামারী নোবেল করোনা ভাইরাস এর থাবায় পৃথিবী আজ মৃত্যুপুরি রূপ নিয়েছে।  বিশ্বের সব পেশার মানুষ আজ এই ক্রান্তিলগ্নে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতেছে শুধু শিক্ষানবীশ আইনজীবী ছাড়া। অনেক শিক্ষানবীশ আইনজীবী আবার মহামারি করোনার থাবায় অকালে ঝরে পড়েছে ছিন্নমুলের ভিন্ন  পাতার মত।কিন্তু আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেও অপুরনীয় থেকে যায় আইনজীবী হওয়ার প্রবল প্রত্যাশা টুকু। 


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি হয়ত জানেননা, অনেক শিক্ষানবীশ আইনজীবী না খেয়ে কাল যাপন করছে, কিন্তু তাদের খবর ই কেউ নেয়না। 

অনেক শিক্ষানবীশ আইনজীবী পুরন করতে পারচে না তাদের মা -বাবার প্রত্যাশা টুকু, পিতা মাতার ঘাম ঝরানো ও রক্তে অর্জন করা প্রচুর অর্থ ব্যয় করে ছেলে মেয়েদের আইন পড়িয়ে যকন ভাবে 
"কখন আমার ছেলেটা বা মেয়েটা আইনজীবী হয়ে দেশ ও জাতীর সেবা করব।।এই ভাবনা করতে করতে আইন পড়ুয়া অসহায় শিক্ষানবীশরা তাদের চোখের সামনে দেখে প্রিয়জন বা পিতা মাতার মৃত্যু। 

অসহায় শিক্ষানবীশ আইনজীবী তখনো ভাবে প্রিয়জন কিংবা পিতা-মাতার পরপারে চলে গেল কিন্তু তাদের স্বপ্ন পুরন করতে পারলাম না।দেশ ও জাতীর কাছে বিষয়টি দুঃখ জনক ও বৈসম্যমুলক।
বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোগে আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার ৬ মাসের ভিতর আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তি করে কিংবা কার্যক্রম শেষ করে।
 কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে প্রতি বছর আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির বিধান থাকলে ও একবার তালিকাভুক্তি হওয়ার পর আরো ৩/৪ বছরে ও আরেকটা তালিকাভুক্তির কার্যক্রম শেষ হয়না
(উদাহরণ সরূপ ২০১৭ সালে পরীক্ষা হওয়ার পর ২০২০ সালের মধ্যবর্তী অবস্থান কৈ পরীক্ষা কৈ তালিকাভুক্তি।

বিগত ২০১৭ সালে বার কাউন্সিল তালিকাভুক্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অনেক সদস্যরা আইনজীবী হয়ে আজ দেশের সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করতেছে।কিন্তু ২০১৭ সালে একই এমসিকিউ পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা সেই সুবিধা হতে বঞ্চিত।। 
যদিও বার কাউন্সিল কতৃপক্ষ তাদেরকে(রিভিউ কারিদের) ২০১৮ সালের মধ্যে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল অধ্যবদি তাহা কার্যকর করেননি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। 

এই নোবেল করোনা ভাইরাস এ জর্জরিত বিশ্বের চলমান দুযোগ কালীন মুহুর্তে পরীক্ষা কখন হবে তালিকাভুক্তি কখন হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
বিধায় দেশ ও জাতীর স্বার্থে দেশে বেকারত্ব নিরসনের লক্ষে ২০১৭ সালে এমসিকিউ পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কতৃক সরাসরি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তি করে আদালতে সরাসরি প্যাকটিস করার অনুমতি প্রদান করা অত্যাবশক। জরূরী প্রঞ্জাপন জারীর মাধ্যমে নোটিশ প্রদান  করে অতিদ্রুত তাহা কার্যকর করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের আকুল আবেদন

Comments